ঢাকা, রবিবার ০৮, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫:৪৪:১৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন কুমিল্লায় বন্যায় ১১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি যে কারণে বাড়ছে চালের দাম গাজায় টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা:নিহত ২৭ শুল্ক কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, ৩ জনের প্রাণহানী

আপাতত বন্ধ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ক্ষতি  ৫০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৪ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুটি টোলঘর আগুনে পুড়ে গেছে। ১৮ জুলাই রাতে বনানী টোলঘর ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়া বনানী টোলঘরের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ঠিক না করা পর্যন্ত অন্তত হাতে হাতে টোল নিয়ে (ম্যানুয়ালি) চালু করা যায় কি না, সেটাও ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (২৪ জুলাই) এফডিইইর অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। কারফিউ পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফডিইই। এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চায় প্রতিষ্ঠান। কারফিউ পুরোপুরি উঠে গেলে বনানী ও মহাখালী ছাড়া বাকি অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, শত শত লোক ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৮টায় বনানী টোলঘরে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে একদল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি, সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আর ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাখালী টোলঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

কত ক্ষতি হয়েছে, তা জানতে চাইলে হাসিব হাসান খান বলেন, ‘আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।’

বনানী ও মহাখালী টোলঘর কবে নাগাদ চালু হবে, তা জানতে চাইলে হাসিব হাসান বলেন, যন্ত্রপাতি চীন থেকে কেনা। কবে নাগাদ তা কেনা যাবে ও স্থাপন করা যাবে, সেটা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।

হাসিব হাসান বলেন, মহাখালীতে যান চলাচল কম। বনানী থেকে অনেক বেশি যান চলাচল হয়। সে ক্ষেত্রে বনানী টোলঘরে ‘ম্যানুয়ালি’ টোল নিয়ে চালু করা যায় কি না, সেটা নিয়েও কোম্পানি ভাবছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রকল্পটির পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের দুটি টোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফডিইইর সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষ শিগগিরই আলোচনায় বসবে। কবে নাগাদ এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে এবং বনানী টোলঘর ম্যানুয়ালি চালু করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ঋণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ সংকটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল অংশ ছাড়া বাকি কাজ পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বনানী ও মহাখালী টোলঘরে নতুন করে যন্ত্রপাতি কেনা সম্ভব কি না, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার বলেন, এসব নিয়েও আলোচনা করা হবে।